Sunday, July 13, 2014

কৈফিয়ত


কৈফিয়ত




প্রিয় পাঠক আপনাকে শুভেচ্ছা। আমি মাঝে মধ্যে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে দুয়েক ছত্র লিখি মনের ক্ষোভ, হতাশা, অক্ষমতা প্রকাশের জন্য, বলা বাহুল্য এসব লেখা উচ্চমার্গয় কিছু হয় না ওভাবে চিন্তা করেও লিখি না। নিজের ভাব অন্যের সাথে আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা, এসব লেখা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবার কোন কারণ নেই, ফেইসবুকে কিংবা ব্লগে এরকম অসংখ্য লেখা অসংখ্য বার লেখা হয়েছে এবং হবে কিন্তু কোন প্রভাব রাখবে সে আশা বাতুলতা মাত্র। তবুও আমি এবং আমার মত আরো অনেকে পণ্ডশ্রম করে যাবে, কি কারণে এ প্রশ্নের উত্তর উহ্য থাকুক অথবা হয়ত কোন উত্তর নাই।
সম্প্রতি লেখা একটা ছড়া আপনাদের নজরে এসেছে দুয়েকজন সহৃদয় মন্তব্যও করেছেন, আমি প্রীত। ছড়াটা আপনাদের ভাবাতে পেরেছে নাড়া দিতে পেরেছে জেনে পুলকিত বোধ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে ইজরাইল এবং ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে হতাহত শিশুদের কিছু ছবি ইন্টারনেটের সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণহীন শরীর দেখে যেকোনো প্রাণীরই আত্মা কেঁদে উঠার কথা, যেহেতু আমিও প্রাণী প্রজাতি সেই হেতু এ ছবিগুলো আমাকেও ছুঁয়ে গেছে, ছুঁয়ে যাওয়ায় আমার অক্ষমতা কিংবা আক্রোশ আমি এভাবে ব্যক্ত করেছি। রাগের বহিঃপ্রকাশ কিংবা আক্রোশের অনুবাদ কোন নিয়ম নীতি মেনে হয় না, আমারও হয় নি। আমি শুধু সাময়িক উপশমের উপায় খুঁজতে চেয়েছি, হয়ত আমার এই উপায় সবার মন-পুত হবে না, না হওয়াটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আমি মনে করি তীব্র বা জোরালো কোন কর্মকাণ্ড আমরা যদি না দেখাতে পারি তা হলে এ সমস্যার আদৌ কোন সমাধান হবে না।
আমার লেখাটায় হিটলারের প্রতীকী পুনরুত্থান দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন মানবতার ঘৃণিত ব্যক্তির বন্দনাকে অনেকে আধুনিকতার বিপরীতে অবস্থান দেখছেন, অনেকেই একে ধর্ম যুদ্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। সবার মতের সাথে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বলতে চাই আমি হিটলারের অনুসারী নই ঐ যুদ্ধবাজকে আদর্শ মনে করার কোন কারণও আমি দেখি না কিন্তু ফিলিস্তিন এবং ইজরাইলের সমস্যার চিরস্থায়ী একটা সমাধানের জন্য আমি ওইরকম একচোখা কাউকে চাই। ইজরাইল এবং ফিলিস্তিনকে নিয়ে বিশ্ব যে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে হিটলারের মত একচোখা উন্মাদই পারে এর এর একটা হেস্ত-নেস্ত করতে। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মত, সবাইকে একমত হতে হবে এর কোন দিব্যি আমি দিচ্ছি না।
ধর্ম রক্ষায় শয়তানের সাথে আঁতাত নতুন কিছু নয়, আমাদের সাহিত্যে কিংবা ইতিহাসে এর ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। দীর্ঘ লেখাও এ নিয়ে তৈরি করা সম্ভব আপাতত সে দিকে না গিয়ে এটুকুই শুধু বলব যে- মহামতি কৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রাক্কালে পাণ্ডবদের পক্ষে যুদ্ধের দাওয়াত দিতে কর্ণের কাছে গিয়েছিলেন, কর্ণ নিশ্চয় ফেরেশতা সম্প্রদায়ের কেউ ছিলেন না। রাবণ বধের প্রাক্কালে রামকেও সুগ্রীব, বালির মত রাক্ষসদের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হিটলারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সাথে মিত্রতার বিষও ব্রিটেন আমেরিকাকে পান করতে হয়েছে, উল্লেখ্য পশ্চিমা বিশ্বের কাছে রাশিয়া এবং সমাজতন্ত্র তখন শয়তানের প্রতিরূপই ছিল।
যদিও আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন কারণ দেখছি না তবু সুহৃদ, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে নিজের বক্তব্যকে পরিস্কার করার উদ্দেশ্যে এ লেখা। আশা করছি আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পেরেছি, সবাইকে শুভেচ্ছা।
হিটলার বন্দনা-
ফিলিস্তিনে মরছে মানুষ
বিশ্ব বিবেক বন্ধ
আমেরিকা ব্রিটেন তাদের
চোখে ঠুলি, অন্ধ!
বিশ্ব মোড়ল দেখছে চেয়ে
গাজার বুকে লাশ
ইজ্রায়িলি পশুর দলে
করছে যে উল্লাস।
মরছে শিশু বৃদ্ধ নারী
মরছে যুবক ভাই
রক্ত নদী বইছে তবু
করছে যে খাঁই খাঁই।
পশুর দলে সমস্বরে
গাইছে ঘৃণার গান
এই পশুদের থামাতে চাই
হিটলারের উত্থান।
আসুক ফিরে আবার সেই
বীর পুরুষ হিটলার
সময় হলো ভাঙ্গতে আবার
জায়ানবাদীর ঘাড়।

No comments:

Post a Comment