কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পৃথিবীকে ঘিরে
অমীমাংসিত চুক্তি হয় মানুষের রক্তের বিনিময়ে।
জ্বলে বিশ্বায়নের সুশৃঙ্খল স্থিতির দশদিগন্ত,
জ্বলে গাজা উপত্যকার কোমল নারী ও শিশুরা!
আজো ক্রুশেবিদ্ধ যিশুর রক্তের দাগ শুকায়নি
আজো জেরুজালেমে, নিকৃষ্ট জালেমদেরই
অস্ত্রের মহড়ায় কম্পিত যীশুর বক্ষ!
আজো ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বাতাসে বাতাসে
প্যালেস্টাইন আর জেরুজালেমের আকাশ প্রদক্ষিণ করে।
রক্তাক্ত আজ আরব সাগরের স্বচ্ছজল
প্রতিশোধের পীড়িত বিষক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করে
মানবতার সর্বশেষ প্রভাবটুকুও।
মানুষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের এমন বিষাদময় প্রবণতা
কেবলই লূ-হাওয়ায় প্রতিশ্রুত হয়।
আমাদের পৃথিবী, একান্তই কামনার সুশীতল আবাসভূমি
আজ ধীরে ধীরে অস্পৃহ হয়ে যাচ্ছে;
বিষাক্ত বাতাসে উড়ছে বেঁচে থাকার শেষ ইচ্ছেটুকু
অন্ধকারে কালো আবরণে বিলুপ্ত হচ্ছে প্যালেস্টাইনের আকাশ!
কিসের আয়োজনে সীমানা বর্ধিত হয় রক্তের বিনিময়ে!
মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার বৈরী সহিংসতা
পুড়ে নিপুণ বিশ্বাসের আঙিনা, রক্তাক্ত হয়
মরুভূমির চিক চিক বালুকণা।
শিশু-কিশোর কলম ফেলে বুক পেতে রাখে তাক করা
অস্ত্রের মুখে।
বিষাক্ত কার্বনিক ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস গ্রহণে
মৃত্যুর ওপারে জীবনের স্বাদ নিতে আয়ুষ্মান হয়!
যিহোবা অথবা ঈশ্বর কি দেখছেন?
আজ বিশ্বাস বিন্যাস্ত হচ্ছে, ধর্মীয় মহিমা দ্বিধান্বিত!
তবে কি গাজার মানুষের রক্তের সাথে
যিশুর রক্তের কোন মিল নেই?
ঈশ্বর তোমাকেই জবাব দিতে হবে আজ।
যিহোবা যেমন করে উঠিয়ে নিয়েছিলে যিশুকে
আবার ফিরিয়ে দাও, আজ আবার যিশুকেই
ফিরিয়ে দিতে হবে গাজা উপত্যাকায়।
স্বর্গের সিঁড়িতে বসে বিধাতা হাসেন;
তিনি দেখছেন, তাঁর দৃষ্টি স্ফীত হয়না!
নৃপতি, তিনি পরিত্রাণ খুঁজেন বিগ্রহ নিসর্গে।
বিকলাঙ্গ সভ্যতা, জরাগ্রস্ত মনুষ্যালয়!
মানবতা মানে আবাবিলের প্রত্যাশায়
আর করজোড়ে মহাশূন্যে দু’হাত উত্তোলন
করবেনা।
বিধাতা, তুমি স্বর্গের প্রাসাদে বসে
জীবনের বিনিময়ে জীবন নিয়ন্ত্রণ করো
তুমি উচ্চাসনে আসীন সর্বশক্তিমান
আমি তোমার শক্তির পরীক্ষায় নতজানু,
প্রকম্পিত বিস্ফোরণের আতংকে তুমিও
আতংকিত হও, মানুষের রক্তে স্বর্গের দেয়ালে
অঙ্কিত হোক- 'শ্বেত ঘরের' শক্তিধর প্রতিচ্ছবি।
No comments:
Post a Comment